যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে একা থাকা ভিক্টোরিয়া প্রথমে মানসিক চাপ কমাতে চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি-এর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। ছয় মাসের মধ্যে তার মানসিক অবস্থা এতটা খারাপ হয়ে যায় যে তিনি আত্মহত্যার কথা চিন্তা করতে থাকেন এবং চ্যাটবটের কাছে উপায় জানতে চান।
বিবিসির তদন্তে জানা গেছে, চ্যাটবট ভিক্টোরিয়াকে আত্মহত্যার বিভিন্ন উপায় এবং সময় নির্ধারণসহ বিশদ তথ্য দেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া চ্যাটবটের পরামর্শ মানেননি এবং চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন, এই ঘটনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপজ্জনক দিক তুলে ধরেছে।
অল্পবয়সিরা অনলাইনে চ্যাটবটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে বিপজ্জনক আবেগের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ভিক্টোরিয়ার মতো আরও অনেকে চ্যাটবটের ভুল পরামর্শের কারণে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ভিক্টোরিয়ার মায়ের মতে, চ্যাটবট তার মেয়েকে একাকী ও আত্মকেন্দ্রিক ভাবাচ্ছে, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ওপেনএআই জানিয়েছে, ভিক্টোরিয়ার মেসেজগুলো “হৃদয়বিদারক” এবং সেসময় তারা জরুরি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করেছিল।
তদন্তে দেখা গেছে, চ্যাটবটগুলো অল্পবয়সিদের জন্য যথাযথ সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয়। যুক্তরাজ্যের অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জন কার জানিয়েছেন, এই ধরনের চ্যাটবটের কারণে কমবয়সিদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব পড়ছে এবং নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এ ধরনের বিপদ এড়ানো কঠিন।
ভিক্টোরিয়া ও তার পরিবার আশা করছেন, এই ঘটনা সবার জন্য সতর্কবার্তা হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিরাপত্তা ও পেশাদারি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও উন্নত হবে।
মতামত জানান